>

Wednesday, July 15, 2020

A Novel Aspect of Farmland Birds Conservation in Precision Agriculture

Farmland bird nest (Source: Wallhere.com)

Written By: Muhammad Abdul Mannan


If we we even keep us very slightly updated with the advancement in the field of agriculture, it is very likely that we already have known about precision agriculture. Even though you are already familiar with the term, I will include here the term definition from an external source in very brief to keep you around the context. 

Precision agriculture (PA) is an approach to farm management that uses information technology (IT) to ensure that the crops and soil receive exactly what they need for optimum health and productivity. The goal of PA is to ensure profitability, sustainability and protection of the environment (Techtarget.com). 
Look at the three points (profitability, sustainability and protection of the environment) in the last line of the above definition. The middle point that is "sustainability" is the main concerned issue of our today's discussion. 

To satisfy the conditions of precision agriculture, a farming system must fulfill the environmental protection criteria. Environmental protection criteria include all of the measures that keep the environment safe for crops and all other living and non-living element's sound functionality. In that concern, farmland birds that are the living component of a farming system are being discussed thoroughly all over the world. This universal concern is to conserve the endangered farmland bird species like Moyna, shalik, House sparrows, Koel, bulbul, Red Wattled Lapwings. These birds very commonly build nests in the farmlands and they are disturbed and destroyed due to unconcerned ploughing and sowing. I used here the word "unconcerned ploughing and sowing "; it is because, prior to ploughing filed and sowing farmers can not necessarily locate the nests of the farmland bird nests. Locating farmland bird nest by eyes is too difficult and time consuming. That's why it is very difficult for the farmers to locate the nests and to take care of them. As a result farmland birds are being more and more endangered day by day. 

Taking this issue into serious consideration, a team of researchers in University of Helsinki initiated a technological method in locating the farmland bird nests. In the technique, they used thermal camera embedded with a flying drone. The background of using thermal photography technique is that the bird nests are warmer than the surrounding crop environment. The warmer bird nests become more clear in the photography as compared to that of crops. after that the images are analysed using artificial intelligence for more clear view and precise location of the nets.
Using this technology, farmers may get a fore-information about the farmland bird nests and may take necessary steps to conserve them.



Friday, May 8, 2020

করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিঃ গুজব ও সত্য

Pic: Corona Virus (Somoy News)

অনুবাদ ও ভাবানুবাদঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান

করোনা ভাইরাস জেনেটিক ইঞ্জিনিইয়ারিং নাকি প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফল, এই প্রশ্নে বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমেই তৈরী হয়েছে। এর স্বপক্ষে তাঁরা দুটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন। 

প্রমাণ-১। নতুন ভাবে দেখতে পাওয়া করোনা ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন বা জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন হচ্ছে SARS-CoV-2। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এই SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিনের RBD কার্যকরভাবেই বিবর্তিত হয়েছিলো ACE2 নামক হিউম্যান কোষের (যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রিসেপ্টর হিসেবে কাজ করে) বাইরে অবস্থিত একটি মলেকুলার বৈশিষ্ট্য কে টার্গেট করে। বিজ্ঞানীরা এই বৈশিষ্ট্যকে প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলাফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, কোন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রোডাক্ট হিসেবে নয়। 

প্রমাণ-২। SARS-CoV-2’র মলেকুলার গঠন/ব্যাকবোন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষের জন্য ক্ষতিকর, এমন কোন প্যাথোজেন পরীক্ষাগারে বানাতে হলে তা ওই পাথোজেনের স্ট্রেইন এর ব্যাকবোন/মলেকুলার গঠনের উপর ভিত্তি করেই বানাতে হবে। কিন্তু কোভিড-১৯’র প্যাথোজেন SARS-CoV-2’র মলেকুলার গঠন/ব্যাকবোন থেকে যথেষ্ট ভিন্নতর; এটা অনেকাংশেই বাদুড় কিংবা প্যাঙ্গলিন্সে পাওয়া ভাউরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। 

উপরোক্ত দুটি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, করোনা ভাইরাস ল্যাবে তৈরি করা অসম্ভব। তাঁরা বিষয়টাকে গুজব হিসেবেই উড়িয়ে দিয়েছেন।

Acknowledgment: Science Daily

Tuesday, March 31, 2020

East Asia and Pacific in the time of Covid-19: An abstract

The Daily Star
The quote of abstract by World Bank Group:
"The COVID-19 virus that triggered a supply shock in China has now caused a global shock. Developing economies in East Asia and the Pacific (EAP), recovering from a trade war and struggling with a viral disease, now face the prospect of a global financial shock and recession. Significant economic pain seems unavoidable in all countries and the risk of financial instability is high, especially in countries with excessive private indebtedness. Several economies are expected to contract in 2020, which will lead to an increase in the poverty rate. Households linked to affected sectors will suffer more. To deal with this crisis, countries need to act fast and decisively to contain the spread of infection, while expanding capacity both to treat people and to test and trace infections. Fiscal measures should provide social protection to cushion against shocks, especially for the most economically vulnerable. Firms will need liquidity injections to help them stay in business and maintain beneficial links to Global Value Chains. The optimal economic policy response will change over time and depend on the precise nature and evolution of the shock. Given the unprecedented nature of the economic shock to each country, and the fact that it is also affecting all other countries in the region and beyond, an exceptional policy response is needed."
Acknowledgment: World Bank Group

Saturday, March 14, 2020

পানীয় পান শেষে খেয়ে ফেলা যাবে গ্লাসঃ পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ

ছবিঃ এলোজেলো (গ্লাস) (ফক্রেঃ স্টার্টআপ নিউজ)

দিনে দিনে বেড়েই চলছে পরিবেশ দূষণ।নানা কারণে হয়ে থাকে এই পরিবেশ দূষণ। যে সব উপাদানের কারণে পরিবেশ দূষণ হয়ে থাকে তাদের মধ্য থেকে অন্যতম উপাদানটি হচ্ছে প্লাস্টিক।অন্যদিকে, আমারা আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যখন যেভাবেই প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যাবহার করছিনা কেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই প্লাস্টিক বর্জ্যের শেষ গন্তব্যস্থল হয়ে থাকে সমুদ্র।আর ঠিক এই কারণেই আজ সমুদ্র এবং সামুদ্রিক প্রাণী পড়েছে চরম বিপর্যয়ের মুখে ।

এই বিপর্যয় থেকে মুক্তির দিকে একধাপ এগিয়ে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার একদল উদ্যোক্তা।সামুদ্রিক বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে তারা সামুদ্রিক শৈবাল দিয়ে তৈরি করেছেন এক ধরণের গ্লাস যাতে করে পানীয় পান করার পরে খেয়ে ফেলা যাবে গ্লাস্টিও! সম্পূর্ণরূপে রাসায়নিকবিহীন এই গ্লাসটির নাম দেওয়া হএছে এলোজেলো।চারটি ভিন্ন স্বাদে তৈরি এলোজেলো খেতে জেলীর মতো। এলোজেলো গ্লাস প্রস্তুতুকারী প্রতিষ্ঠানেটির নাম 'ইভোওয়্যার'। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ 


ভিডিওঃ গ্লাস 'এলোজেলো' (ভিক্রেঃ টেক ইনসাইডার)

বিস্তারিত জানতেঃ যমুনা টেলিভিশন

Saturday, March 7, 2020

ধানের উৎপত্তি বিষয়ক মৌলিক তথ্য

ছবিঃ ধানের উতপত্তিস্থান (প্লস)


অনুবাদ এবং পুনর্বিন্যাসঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)

ধানকে এশিয়ার প্রথম আবাদকৃত ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ৩০০০ অব্দে চীনে সংরক্ষণের উদ্দ্যেশে রাখা ধান (প্রিজারভড রাইস গ্রেইন) পাওয়া যায়। অন্যদিকে, খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ১০০০-৭০০ অব্দে, ভারতের হস্তিনাপুরে এক খনন কাজের সময় রাইস গ্রেইন খুঁজে পাওয়া যায় এবং এটাকে সব থেকে পুরনো ধানের নমুনা হিসেবে মনে করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয় পর্বত এলাকায় বিভন্ন ধরণের ধানের জাত এখন অবধি পাওয়া যায়; আর ঠিক একারণেই এই অঞ্চলকেও ধানের আদি আবাস হিসেবে গণ্য করেন অনেকেই। 

ধানের উৎপত্তিস্থান নিয়ে দুজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর মতামত নিম্নরূপঃ

১। ডি কনডোলে (১৮৮৬) এবং ওয়াট (১৮৬২), দক্ষিণ ভারতকে ধানের উৎপত্তিস্থান হিসেবে উল্ল্যেখ করেছেন।

২। ব্যাবিলভের মতে ধানের উৎপত্তি হয়েছে ভারত এবং মিয়ানমারে। 

Oryza গণের মধ্যে ধানের মোট ২৩ টি প্রজাতি আছে, যার মধ্যে মাত্র দুটি চাষাবাদের যোগ্য; বাকি একুশটি বন্য প্রজাতির। চাষাবাদযোগ্য প্রজাতি দুটি হচ্ছে, Oryza sativa and Oryza glaberrima. প্রথমটি, পৃথিবীর সব জায়গাতেই আবাদ করা হয় কিন্তু দ্বিতীয়টি শুধুমাত্র পশ্চিম-আফ্রিকাতে চাষাবাদ করা হয়। 

তাই, এটা বলা যেতে পারে, ধানের উৎপত্তিস্থান- ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড  বেল্ট এবং পশ্চিম আফ্রিকা, এই দুই অঞ্চলের মধ্যেই সীমিত।

স্বীকৃতিঃ এগ্রোপিডিয়া

Friday, March 6, 2020

ব্ল্যাক রাইসঃ পুষ্টি গুণে অনন্য এক চাল

ছবিঃ কালো ধানের চাল

অনুবাদ এবং পুনর্বিন্যাসঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)


'ব্ল্যাক রাইস'- বাংলাদেশে যাকে বলা হয় 'কালো ধানের চাল'। এটি Oryza sativa L. প্রজাতিভূক্ত। এর অনন্য পুষ্টি গুণের কারণে প্রাচীন চীনে এই ধানের চাল শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল, জন সাধারণের জন্য এই চালের ভাত খাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। তাই, এর অন্য আরেকটি নাম হচ্ছে 'ফরবিডেন রাইস বা নিষিদ্ধ চাল'। আবার, এই ধানের চালে এন্থোসায়ানিন পিগমেন্ট উপস্থিত থাকার কারণে এটি অনেকটা রক্তবেগুনি বর্ণের দেখায়। সে জন্য একে 'পার্পল রাইস'ও বলা হয়।


৪৫ গ্রাম ব্ল্যাক রাইসের মধ্যে পাওয়া যায়-

⤇ তাপ শক্তি/ক্যালরিঃ ১৬০

⤇ চর্বি/ফ্যাটঃ ১.৫ গ্রাম

⤇ আমিষ/প্রোটিনঃ ৪ গ্রাম

⤇ কারবসঃ ৩৪ গ্রাম

⤇ আঁশ/ফাইবারঃ ১ গ্রাম

⤇লৌহ/আয়রনঃদৈনিক প্রয়োজনের ৬%।


ব্ল্যাক রাইসের অনন্য পুষ্টি গুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম গুণটি হচ্ছে এর 'এন্টি অক্সিডেন্ট ধর্ম' বা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক মুক্ত অক্সিজেন মূলক ধ্বংসের ক্ষমতা যা আমাদের শরীরের কোষ গুলোর বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।অন্য যেকোন ধানের চেয়ে ব্ল্যাক রাইসের এই এন্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টি বেশি। এছাড়াও, ব্ল্যাক রাইসের এই ধর্মের কারণে, হৃদরোগ, আলঝিমার এবং ক্যান্সার রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। কালো ধানে এই বৈশিষ্ট গুলো তৈরী হয় এন্থোসায়ানিন, ফ্ল্যাভিনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস এবং অন্যান্য আরো ২৩ টি উপাদান উপস্থিত থাকার কারণে। 

বিস্তারিত পড়ার জন্য ভিজিট করুনঃ উইকিপিডিয়া, হেলথলাইন

Wednesday, March 4, 2020

করোনা (কভিড-১৯) প্রতিরোধে যা করণীয়ঃ ডব্লিউএইচও এবং সিডিসি কর্তৃক নির্দেশিত

ফক্রেঃ দি অলিভ প্রেস

অনুবাদ এবং পুনর্বিন্যাসঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)


করোনা-ভাইরাস ডিজিজ-২০১৯ (কভিড-১৯) প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। তাই, কভিড-১৯ জনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে সব থেকে উত্তম উপায় হচ্ছে নিজেকে এই ভাইরাসের কাছে অনাবৃত করা থেকে দূরে থাকা। যাহোক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন কর্তৃক নিম্নোক্ত প্রতিরোধ উপায় গুলো মেনে চলার আহ্বান করা হয়েছে।

১। সাবান অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘষে ঘষে আপনার হাত ঘনঘন ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার হাতের ঘষায় ভাইরাস ধবংস হয়ে যাবে। 

২। হাঁচি কিংবা কাশি দিচ্ছে এমন ব্যাক্তি থেকে আপনার দূরত্ব বজায় রাখুন অন্তত ১ মিটার (৩ ফিট)।

৩। অধোয়া হাতে চোখ, মুখ এবং নাক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। 

৪। শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা থেকে বিরত থাকুন।

৫। রোগে আক্রান্ত হলে বাড়ীর বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৬। হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যূ ব্যাবহার করুন। 

৭। মাস্ক ব্যাবহার করুন।


কখন এবং কিভাবে মাস্ক ব্যাবহার করবেন?


আপনি নিজে অথবা আপনার আশেপাশের কেউ ঘনঘন হাঁচি-কাশি দেওয়া শুরু করে থাকলে অবশ্যই মাস্ক ব্যাবহার শুরু করুন। মনে রাখবেন, আপনার মাস্ক ব্যাবহার শুধুমাত্র তখনি কার্যকর হবে যতক্ষন পর্যন্ত আপনি মাস্ক ব্যাবহারের সাথে সাথে সাবান কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ঘনঘন হাত পরিষ্কার করবেন। মাস্ক এমনভাবে ব্যাবহার করুন যাতে আপনার মুখ-মন্ডল এবং মাস্কের মধ্যে কোন ফাঁকা স্থান না থাকে। মাস্কের কান সংযোগকারী দুই সূতা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় হাত দিবেননা। একই মাস্ক বেশিদিন ব্যাবহার করবেননা। ব্যাবহৃত মাস্ক কোন বদ্ধ ডাস্টবিনে ফেলে দিন। 


বিস্তারিত পড়তে ভিজিট করুনঃ সিডিসি, ডব্লিউএইচও

Tuesday, March 3, 2020

ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন যেভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে

Photo: Phytoplankton (P.C.: Science Times)


লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)


ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন- দখল করে আছে সাগর, মহাসাগর কিংবা মিঠাপানি জীববৈচিত্রের প্রধান অংশ। জলীয় খাদ্যচক্র নিয়ন্ত্রণে এঁদের ভূমিকা অপরিহার্য।শুধুমাত্র সাগর কিংবা মহাসাগরের জীববৈচিত্র টিকিয়ে রাখতেই এরা সরাসরি ভূমিকা রাখছে তাই নয়, বরং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণেও এরা প্রতিনিয়ত রেখে যাচ্ছে অমূল্য ভূমিকা। চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে এরা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখছে।

বায়ূমন্ডলে উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের একটা উল্ল্যেখযগ্য অংশ ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদকূলের খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়ায়; এবং প্রায় সমান পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত হয় সাগরে।ফাইটোপ্লাংক্টন অটোট্রফ (যারা ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে নিজদের খাবার নিজেরাই তৈরী করতে পারে) অর্গানিজম হওয়ায়, এরা সাগরে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের একটা বিশাল অংশ শোষণ করে নিয়ে বায়ুমন্ডলে কারবন-ডাই-অক্সাইড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। 

যদি তাই হয়, তাহলে কি আমরা সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন পপুলেশন আরো বাড়িয়ে বড় পরিসরে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারব? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ২০০৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, হ্যাঁ, আমরা তা করতে পারি। এক স্যিমুলেশন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, সাগরে ফাইটোপ্লাংকটন কর্তৃক কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ ৩৯% পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু, অতিসাম্প্রতিক (ফেব্রুয়ারী, ২০২০ সালে) প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড আপটেক বাড়ানোর মাধ্যমে সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন পপুলেশন বাড়ানো সম্ভব, তবে তা গ্লোবাল স্কেলে/বাস্তবে সম্ভব না। এতে আরো বলা হয়েছে, ফাইটোপ্লাংটন আয়রন (লৌহ) প্রিয়। লৌহ প্রয়োগে এঁদের পপুলেশন খুব দ্রূত বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, সাগরে যে লৌহ উপাদান দরকার তা বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তাই, আর্টিফিশিয়ালি অতিরিক্ত লৌহ প্রয়োগ ফাইটোপ্লাংক্টনের কোন কাজে আসবেনা এবং স্বাভাবিকভাবেই তা ফাইটোপ্লাংক্টন পপুলেশন বাড়ানোয় উল্ল্যেখযোগ্য কোন ভূমিকা রাখবেনা। 

বিস্তারিত পড়তে নীচের সংযোগ গুলোতে ক্লিক করুন।

Monday, March 2, 2020

পঙ্গপালঃ সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

ফক্রেঃ গ্রিস্ট

পঙ্গপালের ইংরেজী সজ্ঞায় উইকিপেডিয়াতে বলা হয়েছে-
"a collection of certain species of short-horned grasshoppers in the family Acrididae that have a swarming phase)" । 
অর্থাৎ, পঙ্গপাল হচ্ছে এক্রিডিডি পরিবারভূক্ত কিছু নির্দিষ্ট খাটো-শিং ঘাসফড়িং যারা জীবনের একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে বিশাল আঁকারের দল বেধে একসাথে উড়ে বেড়ায়। 

যুগ যুগ ধরে সারা দুনিয়ার কৃষি খাত এঁদের সবথেকে ভয়ংকর রূপটি দেখে আসছে। সর্বপ্রথম খ্রিষ্টপূর্ব আনুমানিক ২০০০ অব্দে মিশরে ফসলের উপরে পঙ্গপালের ধংসাত্মক লীলার বর্ণনা পাওয়া যায়। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে, এঁদের সোয়ারমিংয়ের আঁকার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে!

পঙ্গপালের কারণে ক্ষতির পরিমাণঃ 

একটি পূর্ণবয়স্ক পঙ্গপাল দিনে ০.২ গ্রাম পর্যন্ত সবুজ গাছপালা খেতে পারে। এঁদের একেকটা নিম্ফও দিনে প্রায় ১০০-৪৫০ মিলিগ্রাম সবুজ গাছপালা খেয়ে থাকে। যদি এক বর্গমিটারে ৫০ টি পঙ্গপাল থাকে, তাহলে এটা মনে করা হয় যে, এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১০০ কেজি/হেক্টর/দিন! 

পঙ্গপাল সোয়ারমিংয়ের এর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ/আবহাওয়াঃ

পঙ্গপালের ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা পরিসর হচ্ছে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে সব এলাকায় বছরের নির্দিষ্ট সময় জুড়ে এই পরিসরের তাপমাত্রা বিরাজ করে, সেসব এলাকায় পঙ্গপালের আক্রমণ বেশি দেখা যায়। আর ঠিক এই কারণেই মরুভূমি অঞ্চচলের ফসলের খেতে পঙ্গপালের আক্রমণ সব থেকে বেশি। ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে এঁদের কার্যকলাপ কমতে শুরু করে এবং ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে এঁদের দৈহিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। 


স্বীকৃতিঃ লেডফোরডস, এন এস দব্লিউ, উইকিপিডিয়া

Sunday, March 1, 2020

গাভীর দুধ পানে বেড়ে যেতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ অতিসাম্প্রতিক গবেষণা ফলাফল

P.C.: voinSveta/Getty images




লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)


২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ সালে "ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ইপিডেমিওলোজি (আই এফঃ ৭.৩৩৯)"তে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধের ফলাফলে বলা হয়, গাভীর দুধ পানের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

এই গবেষণার মূল ফলাফলকে নিচের তিনটি শ্রেণীতে উপস্থাপন করা হয়েছেঃ

১। ৩০% ব্রেস্ট ক্যান্সার ঝুঁকিঃ যারা দৈনিক এক কাপের ১/৪ থেকে ১/৩ অংশ দুধ পান করেন, তারা এই পরিসরের ঝুঁকিতে আছেন। 

২। ৫০% ব্রেস্ট ক্যান্সার ঝুঁকিঃ যারা দৈনিক এক কাপ দুধ পান করেন, তারা এই পরিসরের ঝুঁকিতে আছেন। এবং

৩। ৭০-৮০% ব্রেস্ট ক্যান্সার ঝুঁকিঃ যারা দৈনিক ২/৩ কাপ দুধ পান করেন, তারা এই পরিসরের ঝুঁকিতে আছেন।

গবেষণাটি ৫৩,০০০ উত্তর আমেরিকান মহিলার উপর চলানো হয় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে; গবেষণার শুরুতে যাদের কারোও ব্রেস্ট ক্যানসার ছিলোনা। কিন্তূ গবেষণার শেষে ১০৫৭ জন মহিলার মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার রিপোর্ট করা হয়। 

গাভীর দুধে উপস্থিত সেক্স হরমোন উপাদানকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ হিসাবে গবেষণাটিতে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। 


Saturday, February 29, 2020

গবেষণা পত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরঃ নবীনদের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

P.C.: The Oxford Review


লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)

ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর গবেষণাপত্র কি?

সোজা কথায় বলতে গেলে, কোন একটা গবেষণা পত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধ গুলো কত বেশি পরিমাণে অন্য ব্যাবহারকারী/অবেক্ষক/রিভিউয়ার কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেকেন্ডারী তথ্য (ড্যাটা) হিসেবে ব্যাবহৃত/বিবৃত/অবেক্ষিত হচ্ছে তার একটি গড় পরিমাপই (সাইন্টোমেট্রিক সূচক) হচ্ছে "গবেষণাপত্র ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর"। এখানে নির্দিষ্ট সময় বলতে, পরপর দুই বছর বুঝানো হয়। 

উদাহরণঃ মনে করুন, ২০২০ সালে কোন একটি গবেষণাপত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ৭.০। এর মানে হচ্ছে, ২০১৯ এবং ২০১৮ সালে ওই গবেষণাপত্রে প্রকাশিত মোট প্রবন্ধের সংখ্যা দ্বারা মোট বিবৃতি (সাইটেশন) সংখ্যাকে ভাগ করা হলে যে ভাগফল পাওয়া যায়, তাই গবেষণাপত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর।

সুত্রের সাহায্যে দেখলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে। চলুন, দেখে নেয়া যাকঃ-



বি. দ্র.: সব জার্নাল তাদের নিজেদের মত করে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করতে পারেনা। শুধুমাত্র "জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট" নামক প্রকাশনা তালিকায় যে সব গবেষণাপত্র স্থান পায়, সেগুলোর জন্যই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর হিসেব করা হয়। 


Friday, February 28, 2020

Researchers discover new arsenic compounds in rice fields

P.C.: Legal-Reader



"The accumulation of carcinogenic arsenic in rice, the world’s main staple crop, represents a health threat to millions of people. The speciation of arsenic controls its mobility and bioavailability and therefore its entry into the food chain. 

Inorganic and methylated oxyarsenic species have been a focus of research, but arsenic characterization in the field has largely ignored thioarsenates, in which sulfur takes the place of oxygen. Here, on the basis of field, mesocosm and soil incubation studies across multiple paddy soils from rice cultivation areas in Italy, France and China, we find that thioarsenates are important arsenic species in paddy-soil pore waters. 

We observed thioarsenates throughout the cropping season, with concentrations comparable to the much-better-investigated methylated oxyarsenates. Anaerobic soil incubations confirmed a large potential for thiolation across a wide diversity of paddy soil types in different climate zones and with different parent materials. In these incubations, inorganic thioarsenates occurred predominantly where soil pH exceeded 6.5 and in the presence of zero-valent sulfur. Methylated thioarsenates occurred predominantly at soil pH below 7 and in the presence of their precursors, methylated oxyarsenates. High concentrations of dissolved iron limited arsenic thiolation. Sulfate fertilization increased thioarsenate formation. 

It is currently unclear whether thiolation is good or bad for rice consumption safety. Nevertheless, we highlight thiolation as an important factor to arsenic biogeochemistry in rice paddies."


The essay is an abstract of an article published by "Nature Geo-science"

Thursday, February 27, 2020

প্রথম অবাত শ্বসন প্রাণীটির আবিষ্কার হলো যেভাবে

ছবিঃ স্যালমন ফিশ (রিজার্ভেশন )

লিখেছেনঃ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান (এডমিন)

অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে এমন জীবসত্তার কথা চিন্তা করতেই আমাদের মাথায় যে নাম গুলো আসে সেগুলো হচ্ছে- ফাংগাই (Fungi), অ্যামিবা অথবা সিলিয়েটস; যে গুলোর কোনটিই প্রাণী না।অন্যদিকে, কোন প্রাণী অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারেনা, একথা আমরা এতদিন কোন সন্দেহ ছাড়াই বলে এসেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের অতি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, অক্সিজেন ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে এমন প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। 

যুগান্তকারী এই গবেষণাটি করেছেন তেল আবীব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষণা লব্ধ ফলাফল গত ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ইং তারিখে তেল আবী্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির প্রসিডিংয়ে প্রকাশ করা হয়। 

সেখানে বলা হয়, Henneguya salminicola- দশেরও কম সংখ্যক কোষ বিশিষ্ট একটি পরজীবী প্রাণী যা স্যালমন ফিশের অক্সিজেন মুক্ত মাংশ পেশিতে বসবাস করে। এর আবিষ্কারের পিছনের গল্পটাও মজার। এটি একটি দৈবাৎ আবিষ্কার। গবেষক দলের প্রধান, প্রফেসর হ্যাসন যখন Henneguya এর জিনোম অ্যাসেম্বল করছিলেন, তখন খেয়াল করলেন যে Henneguya- এর মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম অনুপস্থিত! মাইট্রোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের পাওয়ার হাউস যা শক্তি তৈরী করার জন্য অক্সিজেন ধরে রাখে। যেহেতু Henneguya- এর কোষে মাইটোকন্ড্রিয়াই ছিলোনা, তাই বলা যায় যে প্রাণীটি অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারে। আর এভাবেই আবিষ্কৃত হয় প্রথম নন-অক্সিজেন ব্রেথিং প্রাণীটি। 


স্বীকৃতিঃ ডেইলি সাইন্স

Wednesday, February 26, 2020

কি হবে, যদি মিথেন গ্যাসের প্রাকৃতিক উৎস গুলো ভেঙ্গে যায়!


ছবিঃ পারমাফ্রস্ট (এস্ট্রোবায়োলোজি মেগাজিন)


অনুবাদকঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান


ক্রমেই বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে, পারমাফ্রস্ট* এবং মিথেন হাইড্রেটস*-এর মত প্রাচীন কার্বন আধার গুলো ভেঙ্গে গিয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে গ্রীন হাউস গ্যাস- মিথেন নির্গমনের সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নির্গত মিথেন গ্যাস কি বায়ুমন্ডল পর্যন্ত পৌছবে? গবেষকরা বলছেন, এমনকি যদিও বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রতি সাড়া দিয়ে প্রাকৃতিক মিথেনের আধার গুলো মিথেন গ্যাসের নির্গমন করেও, খুব অল্প পরিমাণ গ্যাস বায়ুমন্ডলে পৌছতে পারবে। তাই, আমাদের উচিত হবে প্রাকৃতিক গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনের দিকে নজর না দিয়ে মানব সৃষ্ট গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনের দিকে নজর দেওয়া। 

পারমাফ্রস্টঃ পারমাফ্রস্ট হচ্ছে এমন একটি ভূমি রুপ যা বছরের পর বছর অতি ঠান্ডার কারণে জমাট বেধে থাকে।

মিথেন হাইড্রেটসঃ মিথেন হাইড্রেটস হচ্ছে এমন একটি বরফ রুপ গঠন যার অণু সমুহের মধ্যে মিথেন গ্যাস আটকে থাকে। 






Tuesday, February 25, 2020

গমের আটা যে কারণে আঠাল হয়

ছবিঃ গমের আঁটা 

লিখেছেনঃ শারমিন, আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় , শোলাকিয়া রোড, কিশোরগঞ্জ।


সাধারণভাবে গমের আটাখুব বেশি আঠাল হয়না। যে উপাদানটির কারণে গমের আটা আঠাল হয় তা হচ্ছে “গ্লুটেন (Gluten)”. গ্লুটেন হচ্ছে গমের একটি প্রোটিন; এটি প্রলামিন্স এবং গ্লুটেলিন্স দ্বারা গঠিত। এই উপাদান দুটি গমের এন্ডোস্পারমে পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে গ্লুটেন গমের স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা প্রদান করে। 

গমের আটা অন্য একটি কারণে অস্বাভাবিক রকম আঠাল হতে পারে, আর তা হচ্ছে গমের আটা যদি দ্বিতীয় গ্রেডের হয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রেডের আটা হচ্ছে যে আটাকে ঝামেলাপূর্ণ করা হয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে রিফাইন্ড (পরিশোধিত) আটা মিশিয়ে। এটার অন্য একটি নাম হচ্ছে “ময়দা”। এই গ্রেডের আটা (ময়দা) নুডলস বানানোর জন্য সর্বোত্তম কারণ এটি অনেক বেশি আঠাল। মনে রাখবেন ময়দার থেকে গমের আটার দাম বেশি!

Monday, February 24, 2020

Apetala 1: The gene that calls flowers to bloom!

Photo: Flower Quora

Flowers know when to bloom because of a gene named Apetala1. A lone master gene, Apetala1 triggers the reproductive development of a plant, telling it when it's time to start blossoming. Yes, a single gene is all it takes to make a plant start producing flowers.

A plant blooming with flowers has an active Apetala1, while a plant carrying inactive Apetala1 genes has very few flowers, if any, with leafy shoots growing in place of blossoms.

Apetala1 generates the proteins that in turn switch on more than 1,000 genes involved in the flowering process, researchers at the Plant Developmental Genetics laboratory at Trinity College Dublin (TCD) have recently discovered.

While Apetala1 was pinpointed as the master control gene responsible for flowering decades ago, this is the first time that scientists have been able to describe how Apetala1 regulates and communicates with the other "growing" genes.

“Our findings provide new, detailed insights into the genetic processes underlying the onset of flower development," said Dr. Frank Wellmer of the Smurfit Institute of Genetics, one of the study's lead authors.

"We now know which genes need to be turned on and off so that flowers can form. This is an exciting step forward for our understanding of how flowering plants enter into the reproductive phase," Wellmer said.

When the Apetala1 gene turns on, it first commands other genes to send a "stop" signal to the plant's meristems, effectively halting leaf production. Located in the areas of a plant where growth takes place, meristems are then alerted to instead begin making flowers.

Plants blossom at different times because several factors, including the weather, temperature and the amount of sunlight the plant receives, all of which influence its reproductive development. Information about these conditions is relayed to Apetala1, which activates when it senses that the timing is right to commence flowering. Global climate changes are having a dramatic impact on flowering times, with Britain currently experiencing the earliest flowering date in the last 250 years, according to data collected by Nature’s Calendar, a national survey coordinated by the Woodland Trust in partnership with the Centre for Ecology & Hydrology (CEH). Using an index of UK citizen-submitted data, CEH researchers were able to compare the blooming dates of more than 405 flowering plant species and analyze how changes in climate influence a plant's life cycle, a study known as phenology. Scientists noted that spring-flowering species are more affected by temperature changes than species that blossom later in the year. Understanding Apetala1's role in plant growth is one step closer toward genetically engineering crops to produce flowers or fruit as desired by plant breeders and farmers. The ability to control plant reproduction can also be used to reduce the time it takes for crops to mature. "A detailed knowledge of flower formation will allow breeders to specifically manipulate the underlying developmental program and then to select for plants that give higher yields or that allow a more efficient cultivation," Wellmer told Life's Little Mysteries.

Acknowledgment: LabrootsLivescience

Sunday, February 23, 2020

স্মৃতিচারণঃ কলমের একাল সেকাল

Photo: Prof. Mohammad Hossain Bhuiyan (Retired), Department of Agricultural Extension, Sher-e-Bangla Agricultural University


লিখেছেনঃ অধ্যাপক মোহাম্মাদ হোসাইন ভূঁইয়া (অবসরপ্রাপ্ত) 


কলম কালি মন
লিখে তিন জন
সেই কলম নেই সেই কালি নেই লেখার সেই মানসিকতাও নেই। কি লিখব? লেখার বিষয়বস্তু‘ খুঁজে পাইনা। আর লেখার বিষয় খুঁজে পাওয়া গেলেও পাঠক খুঁজে পাওয়া যায়না সেদিন কিছু লোকের কথাবার্তা আড়ি পেতে শুঞ্ছিলাম। লোকেরা সেকালের কলম ও কালি ব্যবহার নিইয়ে মজার মজার আলাপ করছিল। তাদের কথা শুনে আমার ছোটবেলার কলম কালি ব্যবহারের কথা মনে পড়ল।আমি হারিয়ে গেলাম সেই ছোট বেলার পড়ালেখার কর্মকান্ডে ।

১।কঞ্চিকলমঃ কলমের ইতিহাস সভ্যতার ইতিহাসের সমসাময়িক। কলমের ইংরেজি শব্দ “পেন” ল্যাটিন শব্দ “পেন্না” থেকে এসেছে যার অর্থ পাখির পালক। এ থেকে বুঝা যায় এককালে পাখীর পালক কলম হিসাবে ব্যবহৃত হতো। যা হোক, আমার লেখা শুরু হয় বাঁশের কঞ্চির কলম দিয়ে। আমার মা কঞ্চি কলমের সাইজ করে কেটে অগ্রভাগ কলমের নিবের মত চোখা করে কলম বানিয়ে দিতেন। কলম বানাবার জন্য ধারালো চাকু বা ছুরি ব্যবহার করা হতোনা। গৃহস্থ বাড়ির দা বা বঠি দিয়ে কলম বানানো হতো। কঞ্চির কলমের কালি ছিল স্পেসাল। মাটির হাড়ির তলার কালির গুঁড়া ও সিম পাতার রস মিক্সচার করে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে কালি তৈরি হতো। এই কালি মাটির খোড়ায় রেখে কঞ্চির কলমের চোখা অংশ চুবিয়ে তাল পাতায় লিখতাম অ আ ই ঈ ক খ। প্রাচীনকালে কঞ্চির কলমের মতই নলখাগড়ার ডগা দিয়ে কলম তৈরি হতো যা খাগের কলম নামে পরিচিত।খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে মিশরীয়রা খাগের কলম ব্যবহার করত। অতএব, দেখা যায় আমার শিশুকাল প্রাচীন মিশরীয় অবস্থানেই ছিল।

২।হাতলওয়ালা কলম/হ্যান্ডল পেন/নিব কলমঃ স্কুলে ভর্তির পর খাতায় লেখার সুযোগ পাই। তখন ব্যবহার করতাম হাতলওয়ালা কলম বা নিব কলম। হাতলয়াল কলমে ধাতব নিব বসানো থাকত। নিবের অগ্রভাগে ছিল বিন্দুর ন্যায় গোল আর নিবের মাঝ বরাবর চুল পরিমাণ ফাঁক থাকত। নিবের এই ফাঁক যে কালি ধারণ করত তা দিয়ে প্রায় এক মিনিট লেখা যেত। নিবের কালি শেষ হলে কলমটি আবার কালিতে চুবানো হতো। কলমের নিবের স্থায়িত্ব বেশি ছিলনা। কিছুদিন লেখার পরই নিব নষ্ট হয়ে যেত। তবে হাতলে নিব লাগানো যেত। দুই পয়সা দিয়ে দোকান থেকে নিব কেনা যেত। এবং হাতলে নিব লাগিয়ে আবার আমরা কলম চালু করতাম। মিশরীয়রা সর্ব প্রথম কাঠির ডগায় তামার তৈরি নিব লাগিয়ে হ্যান্ডল পেন বা হাতলওয়ালা কলম তৈরি করে।

হতলওয়ালা কলমের জন্য আমরা দোয়াতের কালি ব্যবহার করতাম। কালি রাখার জন্য দোয়াত কিনতে পাওয়া যেত। দুই পয়সা করে দোকানে কালির ট্যাবলেট পাওয়া যেত। দোয়াতে পানি ভরে কালির ট্যাবলেট পানিতে ছেড়ে দিলে রাতারাতি গলে যেত এবং লেখার জন্য কালি প্রস্তুত হতো। লেখা উজ্জল হওয়ার জন্য অনেক সময় আমরা কালিতে কাঁচা হরিতকীর রস মিক্সচার করতাম। পরীক্ষার সময় আমরা কালির দোয়াত এবং হাতলওয়ালা কলম নিয়ে স্কুলে যেতাম। হাত থেকে বা বেঞ্চ থেকে প্রায়ই দোয়াত পড়ে যেত আর তাতে আমাদের জামা কাপড়ে কালির দাগ পড়ত। কলম কালিতে চুবিয়ে মাঝে মাঝে ঝাড়া দিতাম। তখন নিজের গায়ে অথবা অন্যের গায়ে কালির ছিটা লাগত।

৩। মধ্যযুগে কাগজ আবিষ্কারের পর পাখির পালকের কলম ব্যবহার শুরু হয়। রাজহাঁস, ময়ূর এবং আরো অনেক পাখির পালক দ্বারা কলম তৈরি হতো। পাখির পালকের কলমকে কুইল কলমও বলা হয়। আর দোয়াতের কালি ব্যবহার করেই কুইল কলম দিয়ে লেখা হতো। এই কলম ব্যবহার করত জমিদার শ্রেণির লোকেরা। আমাদের কালে এই কলমের দেখা পাইনি। তবে গল্প শুনেছি প্রচুর।

৪। প্রায় চার হজার বছর আগে গ্রীসবাসীরা স্টাইলাস (Stylus) কলম ব্যবহার করত। স্টাইলাস কলম তৈরি হতো হাতির দাঁত থেকে। এই কলমের নাম আমরা শুনিনি। আর আমাদের দেশে এর ব্যবহার হয়েছে কিনা তাও জানা নেই।
৫। ঝরনা কলম বা ফাউন্টেন পেনঃ এই কলমের ইতিহাস অনেক লম্বা। প্রথমে মিশরে ৯৫৩ সালে ফাওউন্টেন পেন আবিষ্কার হয়। এর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলম আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। খুব সম্ভব ওয়াটারম্যান ১৭৮০ সালের দিকে এই কলম ইংল্যান্ডে আবিষ্কার করেন। এর পর বিভিন্ন সময়ে ফাউন্টেন পেনের অনেক মডিফিকেশন হয়। এর নিব তৈরি হতো দামি ধাতব পদার্থ দিয়ে। আর নিবের ডগা তৈরি হতো ইউরোনিয়াম দিয়ে। ঝরনা কলমকে আমরা ফাউন্টেন পেন হিসাবেই জানি। অনেক নামী দামি ফাউন্টেন পেন ছিল। যেমন, পার্কার, পাইল্ট, স্যামসাং, ইয়থ ইত্যাদি নামের দামি কলম ছিল। আবার কম দামের কলমও ছিল। আমি ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে ওঠার পর আমাকে কম দামের একটি ফাউন্টেন পেন কিনে দেওয়া হয়। সেকালে গুলিস্তান এলাকায় অনেক কলম মেকার বসত। তাদের নিকট থেকে সস্তায় কলম পাওয়া যেত। এই কলমে কালি ভরার রিজারভিয়র বা প্রকোষ্ঠ ছিল। প্রকোষ্ঠের সাথে একটি সরু পথ ছিল যা কলমের নিবের সাথে সংযুক্ত। মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে রিজারভিয়র হতে কালি নিবে যেত এবং আমরা খাতায় বা কাগজে লিখতে পারতাম। ড্রপার বা সিরিঞ্জ দিয়ে আমরা কলমে কালি ভরতাম। নিব নষ্ট হয়ে গেলে বদলাবার ব্যবস্থা ছিল। এই কলমের সুবিধা হচ্ছে একবার কালি ভরলে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা অনায়াসে দেওয়া যেত। সাবধানতা এড়ানোর জন্য পরের দিনের পরীক্ষার জন্য কালি ভব্রে নিতাম। আমি অনেক রকমের ফাউন্টেন পেন দেখেছি এবং ব্যবহার করেছি। পাইলট, পার্কার, ইয়থ ইত্যাদি নামের ফাউন্টেন পেনের কথা মনে পড়ছে।

সেকালে অনেক ব্র্যান্ডের কালি ছিল। যেমেন, পেলিকান, অস্ট্রিচ, ইয়থ ইত্যাদি। কালির মধ্যে ছিল কালো অথবা রয়েল ব্লু।

৬। বলপয়েন্ট কলমঃ বলপয়েন্ট কলমকে রিফিল কলমও বলা হয়। বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কারের ইতিহাস দীর্ঘ হলেও সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে আসে ১৯৬০’র দশকে। আমাদের দেশে আসে আরো অনেক পরে। খুব সম্ভব আশির দশকের শুরুতে অথবা সত্তুর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। এসময়ে কত মানুষ বিদেশ যেত এবং পকেটে করে তারা কলম নিয়ে আসত ও প্রিয় জনরে উপহার দিত। ১৮৮৮ সালে সর্বপ্রথম আমেরিকার নাগরিক জন জে লাউড বলপয়েন্ট পেন আবিষ্কার করেন। জন লাউডের এই কলম খুব সহজলভ্য ছিলনা। গত শতাব্দীর তৃতীয় দশকে হাঙ্গেরিয়ান নিউজ পেপার এডিটর লাসলো বিরো ও তার ভাই জন বিরো নতুন ধরনের বলপয়েন্ট পেন আবিষ্কার করেন। এই কলমের বৈশিষ্ট্য হল কলমের ফাঁপা স্থানে খুব ঘন কালি স্থাপন করা হয়। কলমের অগ্রভাগে নিব তুল্য স্টিলের বা পিতলের বল লাগানো থাকে যা দ্বারা আমরা লিখে। ফাউণ্টেন পেনের মতই মাধ্যাকর্ষণজনিত প্রভাবে বলে কালি প্রবেশ করে এবং আমরা লিখতে পারি।

বর্তমানে বলপয়েন্ট খুবই জনপ্রিয়। এক রিফিল শেষ হলে আর এক রিফিল ভরা যায়। বর্তমানে অবশ্য কেউ আর রিফিল ভরেনা। বলপয়েন্ট কলম এত সস্তা যে কালি শেষ হলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয় আবার নতুন একটা ক্রয় করা হয়। আমি ১৯৮২ সালে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা বলপয়েন্ট কলম গিফট পেয়েছিলাম। কলমের মধ্যে একটি ঘড়িও ছিল। এই দামি কলম দিয়ে আমি কখনো লিখিনি। শুধু দেখতাম। একদিন দেখলাম কালি শুকিয়ে গেছে ঘড়িও স্পন্দনহীন হয়ে পড়েছে।

বলপয়েন্টে এখন যেমন ঘড়ি আছে অদূর ভবিষ্যতে এই কলমে টেলিফোন বা মোবাইলের ব্যস্থাও থাকতে পারে। অথবা এখনই তা আছে যা আমি জানিনা।

Saturday, February 22, 2020

Agriculture and nanotechnologies (কৃষি ও ন্যানো প্রযুক্তি)


Image: Nano technology in agriculture (Avens Online)

Nanotechnology monitors a leading agricultural controlling process, especially by its miniature dimension. Additionally, many potential benefits such as enhancement of food quality and safety, reduction of agricultural inputs, enrichment of absorbing nanoscale nutrients from the soil, etc. allow the application of nanotechnology to be resonant encumbrance. Agriculture, food, and natural resources are a part of those challenges like sustainability, susceptibility, human health, and healthy life. The ambition of nanomaterials in agriculture is to reduce the amount of spread chemicals, minimize nutrient losses in fertilization and increased yield through pest and nutrient management. Nanotechnology has the prospective to improve the agriculture and food industry with novel nanotools for the controlling of rapid disease diagnostic, enhancing the capacity of plants to absorb nutrients among others. The significant interests of using nanotechnology in agriculture includes specific applications like nanofertilizers and nanopesticides to trail products and nutrients levels to increase the productivity without decontamination of soils, waters, and protection against several insect pest and microbial diseases. Nanotechnology may act as sensors for monitoring soil quality of agricultural field and thus it maintain the health of agricultural plants. This review covers the current challenges of sustainability, food security and climate change that are exploring by the researchers in the area of nanotechnology in the improvement of agriculture.


The prediction that in 2050 our planet will be populated by over 9 billion people is quite reliable. This will pose serious problems with food, water and energy supply, particularly in less-developed countries. Considering that the human pressure over natural resources has already reached critical levels, international agencies such as the World Bank and UN Food and Agriculture Organization (FAO) are soliciting scientific research in order to identify innovative solutions to support the primary sector. Nanotechnology is a rapidly evolving field with the potential to take forward the agriculture and food industry with new tools which promise to increase food production in a sustainable manner and to protect crops from pests. Such expectations are coupled with some uncertainties about the fate of nanomaterials in the agro-environment. However, the field application of engineered nanomaterials (ENMs) has not been properly investigated yet, and many aspects have only been considered theoretically or with models, which make it difficult to properly assess the usefulness of ENMs for plant fertilization and protection.


Acknowledgment; NCBIIntechphone

Friday, February 21, 2020

কৃষি ও বাংলা ভাষা

ফক্রেঃ আমাদের ইসলাম

হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত এই বাংলা। নদীমাতৃক একটি অঞ্চল। মাটির উর্বরতা, প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য আর ঋতুবৈচিত্র্যের কারণেই খ্রিস্টপূর্ব সময়।থেকেই এ অঞ্চলের প্রচুর সম্ভাবনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বময়। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এ অঞ্চলে যখন যে গোষ্ঠীর আগমন ঘটেছে ও বসতি স্থাপিত হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই মাটিঘেঁষা সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়েছে। জনবসতির প্রথম শর্তই হচ্ছে জীবিকা।

বলা যায়, সমতলে ধান চাষের প্রথম প্রবর্তক হচ্ছে অষ্ট্রিক গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর আরেক নাম ছিল নিষাদ। এই জনগোষ্ঠীর পর এ অঞ্চলে আগমন ঘটে আলপাইন বা অনার্য জনগোষ্ঠীর। বর্তমান বাঙালি সমাজে আমাদের মধ্যে এদের বংশধরই বেশি। এরপর আসে আর্যরা। সেটি খ্রিস্ট্রীয় পঞ্চম শতকের কথা। মূলত অনার্যদের কৃষি, সংস্কৃতি ও ভাষায় আকৃষ্ট হতে থাকে তারা। আর্যদের আগে অনার্য ও তামিলরা এ দেশে প্রথম নারকেল, সুপারি ও নানারকম ফলবান বৃক্ষের চাষ ও সবুজ বাগিচা বানানোর রীতি প্রবর্তন করেন।

এর পরে বাংলায় যত বিদেশি গোষ্ঠী এসেছে, উপনিবেশ গড়েছে এরা নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখলেও কৃষি ক্ষেত্রে তেমন অবদান রাখেনি। আরব, পারস্য, মােগল, পাঠান, ইংরেজ, ফরাসি সবাই শহুরে জীবনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। তবে ব্যতিক্রম ছিল পর্তুগিজরা। তারা এ দেশে আলু, পেঁপে, আনারস, কামরাঙা, পেয়ারা, কৃষ্ণচূড়া ফুল ও তামাক আবাদ শুরু করে।

সম্রাট আকবরের সময় মূলত শুরু হয় বাংলা সন তারিখ গণনার কাজ। সেখানেও ছিল কৃষিরই প্রাধান্য। ছিল হালখাতা ও বর্ষবরণ প্রবর্তনের বিষয়-আশয়। মূলত ঋতু ও মাসভিত্তিক বাঙালি  সংস্কৃতির এক অভিযাত্রা ঘটে সে সময়ই। নতুন বিন্যস্ত বাংলা সন ফসলি সন হিসেবেও আখ্যা পায়। সে সময় থেকেই মূলত সমৃদ্ধ হতে থাকে আমাদের বাংলা সংস্কৃতি। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বাঙালি সংস্কৃতির শিকড়ই হচ্ছে লােকসংস্কৃতি। আর লােকসংস্কৃতির গােড়াপত্তনই ঘটে মানুষের। জীবন-জীবিকা অর্থাৎ কৃষির ওপর ভিত্তি করে।

দেখা যায়, গম্ভীরা, গাঁথা, গীতিকা, ছড়া, জারিগান, ঝুমুর, ডাক ও খনার বচন, বাউল গান, ধাঁধা, প্রবাদ, প্রবচন, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, রূপকথা, সারিগান প্রভৃতি লােকসংস্কৃতি উপাদানের মধ্যে রয়েছে কৃষিতথ্য। একই ভাবে গ্রামীণ সংস্কৃতির মূল প্রাণশক্তি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বাংলা বর্ষবরণ, গ্রাম্য মেলা ও কৃষিমেলা; যার মধ্য দিয়ে বাঙালির আদি জীবনব্যবস্থা, বিনোদন এবং মনের ভাব প্রকাশের এক বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়। বিভিন্ন উৎসব আয়ােজনে এসেছে যাত্রাপালা, জারিগান, পালাকাব্য প্রভৃতি উপাদান। আর এসব উপাদানে স্থান পেয়েছে ফসল কাটার গান, ভূমি জোরদখলের প্রতিবাদে পালাগান, কবিগান ইত্যাদি। আর ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালিতে তো কৃষির প্রভাব ছিলই।

নৃবিজ্ঞানে ভাষাকে সংস্কৃতির মূল সংরক্ষণাধার বলা হয়। এ ছাড়া সংস্কৃতির অন্য উপাদানগুলো হচ্ছে খাদ্যাভ্যাস, আত্মীয় সম্পর্ক এবং অতিপ্রাকৃতের ধারণা ও বিশ্বাস। ধর্ম, গোত্র যা-ই থাক ভাষা, অভিন্ন জৈব পরিবেশ ও জীবন-জীবিকাই পৃথিবীর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জনগোষ্ঠী থেকে বাংলাকে আলাদা করেছে। একই সমাজ ও উৎপাদনব্যবস্থায় অংশ নিয়ে হাজার বছর ধরে মাটি আর বাঁশ-খড়ের তৈরি ঘরে বাংলার জনগোষ্ঠী বসবাস করে এসেছে। ত্যিই মাটিঘেঁষা এক সংস্কৃতির দাবিদার এই বাংলা।

১৯৪৭-এ ভারত বিভক্তির অনেক আগেই পূর্ববঙ্গে অবস্থানরত বাঙালিদের জাতিসত্তা, ভাষা ও সংস্কৃতি একটি স্বতন্ত্র পরিচয়ে জাগ্রত হয়ে ওঠে। পাকিস্তান আমল শুরুর সময়ই তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাঁয়তারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে থাকে বাংলার ছাত্র, শিক্ষক, সর্বস্তরের পেশাজীবী থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত। এরই চূড়ান্ত রূপ '৫২-এর ভাষা আন্দোলন। বাঙালির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার যে। বীজ বপিত হয়েছিল তারও চূড়ান্ত রূপ পায় ১৯৭১ এ।

স্বাধীন বাংলাদেশ, মোটা ভাত মোটা কাপড়ের জন্য সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার খেটে খাওয়া কৃষক মজুর থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ। আমাদের। সবচেয়ে গর্বের সেই ইতিহাস সবারই জানা। '৭১ এ ২০০ বছর পর নতুন বাংলাদেশে উদিত হয় স্বাধীন সূর্য। নিজস্ব দেশ, নিজস্ব ভূমি, নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতির অহংকার নতুন এক দিগন্তে স্বপ্নে উজ্জীবিত করে প্রতিটি মানুষকে। এই যে বাঙালির দীর্ঘ অভিযাত্রা ও পথচলা এর মধ্যে পুরো অংশ। জুড়ে ছিল কৃষিরই প্রাধান্য। ছিল উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার নতুন স্বপ্ন। আমরা মায়ের ভাষার। অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র । পেয়েছি তাই নিজ দেশে ফসল ফলিয়ে স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পেরিয়ে এসেও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।

এটি অনেক বড় অর্জন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে গর্বের বিষয়। আমাদের ভাষাশহীদ দিবসও পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা।সব মিলিয়েই কৃষিসংস্কৃতিতে লালিত বাঙালি তার অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠায় সর্বদা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। এবং জয়লাভ করেছে। বাংলা ভাষা আমাদের কৃষকের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতির মূল শিকড় হচ্ছে। বাংলা। বাঙলির এই অহংকার আজ বিশ্বব্যাপী।

Acknowledgment: Addunik Krishi Khamar

A Novel Aspect of Farmland Birds Conservation in Precision Agriculture

Farmland bird nest (Source: Wallhere.com ) Written By:  Muhammad Abdul Mannan If we we even keep us very slightly updated with the advanceme...