>

Saturday, February 29, 2020

গবেষণা পত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরঃ নবীনদের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

P.C.: The Oxford Review


লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)

ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর গবেষণাপত্র কি?

সোজা কথায় বলতে গেলে, কোন একটা গবেষণা পত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধ গুলো কত বেশি পরিমাণে অন্য ব্যাবহারকারী/অবেক্ষক/রিভিউয়ার কর্তৃক একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেকেন্ডারী তথ্য (ড্যাটা) হিসেবে ব্যাবহৃত/বিবৃত/অবেক্ষিত হচ্ছে তার একটি গড় পরিমাপই (সাইন্টোমেট্রিক সূচক) হচ্ছে "গবেষণাপত্র ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর"। এখানে নির্দিষ্ট সময় বলতে, পরপর দুই বছর বুঝানো হয়। 

উদাহরণঃ মনে করুন, ২০২০ সালে কোন একটি গবেষণাপত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ৭.০। এর মানে হচ্ছে, ২০১৯ এবং ২০১৮ সালে ওই গবেষণাপত্রে প্রকাশিত মোট প্রবন্ধের সংখ্যা দ্বারা মোট বিবৃতি (সাইটেশন) সংখ্যাকে ভাগ করা হলে যে ভাগফল পাওয়া যায়, তাই গবেষণাপত্রের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর।

সুত্রের সাহায্যে দেখলে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে। চলুন, দেখে নেয়া যাকঃ-



বি. দ্র.: সব জার্নাল তাদের নিজেদের মত করে ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর নির্ধারণ করতে পারেনা। শুধুমাত্র "জার্নাল সাইটেশন রিপোর্ট" নামক প্রকাশনা তালিকায় যে সব গবেষণাপত্র স্থান পায়, সেগুলোর জন্যই ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর হিসেব করা হয়। 


Friday, February 28, 2020

Researchers discover new arsenic compounds in rice fields

P.C.: Legal-Reader



"The accumulation of carcinogenic arsenic in rice, the world’s main staple crop, represents a health threat to millions of people. The speciation of arsenic controls its mobility and bioavailability and therefore its entry into the food chain. 

Inorganic and methylated oxyarsenic species have been a focus of research, but arsenic characterization in the field has largely ignored thioarsenates, in which sulfur takes the place of oxygen. Here, on the basis of field, mesocosm and soil incubation studies across multiple paddy soils from rice cultivation areas in Italy, France and China, we find that thioarsenates are important arsenic species in paddy-soil pore waters. 

We observed thioarsenates throughout the cropping season, with concentrations comparable to the much-better-investigated methylated oxyarsenates. Anaerobic soil incubations confirmed a large potential for thiolation across a wide diversity of paddy soil types in different climate zones and with different parent materials. In these incubations, inorganic thioarsenates occurred predominantly where soil pH exceeded 6.5 and in the presence of zero-valent sulfur. Methylated thioarsenates occurred predominantly at soil pH below 7 and in the presence of their precursors, methylated oxyarsenates. High concentrations of dissolved iron limited arsenic thiolation. Sulfate fertilization increased thioarsenate formation. 

It is currently unclear whether thiolation is good or bad for rice consumption safety. Nevertheless, we highlight thiolation as an important factor to arsenic biogeochemistry in rice paddies."


The essay is an abstract of an article published by "Nature Geo-science"

Thursday, February 27, 2020

প্রথম অবাত শ্বসন প্রাণীটির আবিষ্কার হলো যেভাবে

ছবিঃ স্যালমন ফিশ (রিজার্ভেশন )

লিখেছেনঃ মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান (এডমিন)

অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে এমন জীবসত্তার কথা চিন্তা করতেই আমাদের মাথায় যে নাম গুলো আসে সেগুলো হচ্ছে- ফাংগাই (Fungi), অ্যামিবা অথবা সিলিয়েটস; যে গুলোর কোনটিই প্রাণী না।অন্যদিকে, কোন প্রাণী অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারেনা, একথা আমরা এতদিন কোন সন্দেহ ছাড়াই বলে এসেছি। কিন্তু বিজ্ঞানের অতি সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, অক্সিজেন ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে এমন প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। 

যুগান্তকারী এই গবেষণাটি করেছেন তেল আবীব বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। গবেষণা লব্ধ ফলাফল গত ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ইং তারিখে তেল আবী্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির প্রসিডিংয়ে প্রকাশ করা হয়। 

সেখানে বলা হয়, Henneguya salminicola- দশেরও কম সংখ্যক কোষ বিশিষ্ট একটি পরজীবী প্রাণী যা স্যালমন ফিশের অক্সিজেন মুক্ত মাংশ পেশিতে বসবাস করে। এর আবিষ্কারের পিছনের গল্পটাও মজার। এটি একটি দৈবাৎ আবিষ্কার। গবেষক দলের প্রধান, প্রফেসর হ্যাসন যখন Henneguya এর জিনোম অ্যাসেম্বল করছিলেন, তখন খেয়াল করলেন যে Henneguya- এর মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম অনুপস্থিত! মাইট্রোকন্ড্রিয়া হচ্ছে কোষের পাওয়ার হাউস যা শক্তি তৈরী করার জন্য অক্সিজেন ধরে রাখে। যেহেতু Henneguya- এর কোষে মাইটোকন্ড্রিয়াই ছিলোনা, তাই বলা যায় যে প্রাণীটি অক্সিজেন ছাড়াই বাঁচতে পারে। আর এভাবেই আবিষ্কৃত হয় প্রথম নন-অক্সিজেন ব্রেথিং প্রাণীটি। 


স্বীকৃতিঃ ডেইলি সাইন্স

Wednesday, February 26, 2020

কি হবে, যদি মিথেন গ্যাসের প্রাকৃতিক উৎস গুলো ভেঙ্গে যায়!


ছবিঃ পারমাফ্রস্ট (এস্ট্রোবায়োলোজি মেগাজিন)


অনুবাদকঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান


ক্রমেই বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে, পারমাফ্রস্ট* এবং মিথেন হাইড্রেটস*-এর মত প্রাচীন কার্বন আধার গুলো ভেঙ্গে গিয়ে অস্বাভাবিক পরিমাণে গ্রীন হাউস গ্যাস- মিথেন নির্গমনের সম্ভাবনাও বেড়ে যাচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নির্গত মিথেন গ্যাস কি বায়ুমন্ডল পর্যন্ত পৌছবে? গবেষকরা বলছেন, এমনকি যদিও বৈশ্বিক তাপমাত্রার প্রতি সাড়া দিয়ে প্রাকৃতিক মিথেনের আধার গুলো মিথেন গ্যাসের নির্গমন করেও, খুব অল্প পরিমাণ গ্যাস বায়ুমন্ডলে পৌছতে পারবে। তাই, আমাদের উচিত হবে প্রাকৃতিক গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনের দিকে নজর না দিয়ে মানব সৃষ্ট গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমনের দিকে নজর দেওয়া। 

পারমাফ্রস্টঃ পারমাফ্রস্ট হচ্ছে এমন একটি ভূমি রুপ যা বছরের পর বছর অতি ঠান্ডার কারণে জমাট বেধে থাকে।

মিথেন হাইড্রেটসঃ মিথেন হাইড্রেটস হচ্ছে এমন একটি বরফ রুপ গঠন যার অণু সমুহের মধ্যে মিথেন গ্যাস আটকে থাকে। 






Tuesday, February 25, 2020

গমের আটা যে কারণে আঠাল হয়

ছবিঃ গমের আঁটা 

লিখেছেনঃ শারমিন, আজিম উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় , শোলাকিয়া রোড, কিশোরগঞ্জ।


সাধারণভাবে গমের আটাখুব বেশি আঠাল হয়না। যে উপাদানটির কারণে গমের আটা আঠাল হয় তা হচ্ছে “গ্লুটেন (Gluten)”. গ্লুটেন হচ্ছে গমের একটি প্রোটিন; এটি প্রলামিন্স এবং গ্লুটেলিন্স দ্বারা গঠিত। এই উপাদান দুটি গমের এন্ডোস্পারমে পাওয়া যায়। এঁদের মধ্যে গ্লুটেন গমের স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা প্রদান করে। 

গমের আটা অন্য একটি কারণে অস্বাভাবিক রকম আঠাল হতে পারে, আর তা হচ্ছে গমের আটা যদি দ্বিতীয় গ্রেডের হয়ে থাকে। দ্বিতীয় গ্রেডের আটা হচ্ছে যে আটাকে ঝামেলাপূর্ণ করা হয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে রিফাইন্ড (পরিশোধিত) আটা মিশিয়ে। এটার অন্য একটি নাম হচ্ছে “ময়দা”। এই গ্রেডের আটা (ময়দা) নুডলস বানানোর জন্য সর্বোত্তম কারণ এটি অনেক বেশি আঠাল। মনে রাখবেন ময়দার থেকে গমের আটার দাম বেশি!

Monday, February 24, 2020

Apetala 1: The gene that calls flowers to bloom!

Photo: Flower Quora

Flowers know when to bloom because of a gene named Apetala1. A lone master gene, Apetala1 triggers the reproductive development of a plant, telling it when it's time to start blossoming. Yes, a single gene is all it takes to make a plant start producing flowers.

A plant blooming with flowers has an active Apetala1, while a plant carrying inactive Apetala1 genes has very few flowers, if any, with leafy shoots growing in place of blossoms.

Apetala1 generates the proteins that in turn switch on more than 1,000 genes involved in the flowering process, researchers at the Plant Developmental Genetics laboratory at Trinity College Dublin (TCD) have recently discovered.

While Apetala1 was pinpointed as the master control gene responsible for flowering decades ago, this is the first time that scientists have been able to describe how Apetala1 regulates and communicates with the other "growing" genes.

“Our findings provide new, detailed insights into the genetic processes underlying the onset of flower development," said Dr. Frank Wellmer of the Smurfit Institute of Genetics, one of the study's lead authors.

"We now know which genes need to be turned on and off so that flowers can form. This is an exciting step forward for our understanding of how flowering plants enter into the reproductive phase," Wellmer said.

When the Apetala1 gene turns on, it first commands other genes to send a "stop" signal to the plant's meristems, effectively halting leaf production. Located in the areas of a plant where growth takes place, meristems are then alerted to instead begin making flowers.

Plants blossom at different times because several factors, including the weather, temperature and the amount of sunlight the plant receives, all of which influence its reproductive development. Information about these conditions is relayed to Apetala1, which activates when it senses that the timing is right to commence flowering. Global climate changes are having a dramatic impact on flowering times, with Britain currently experiencing the earliest flowering date in the last 250 years, according to data collected by Nature’s Calendar, a national survey coordinated by the Woodland Trust in partnership with the Centre for Ecology & Hydrology (CEH). Using an index of UK citizen-submitted data, CEH researchers were able to compare the blooming dates of more than 405 flowering plant species and analyze how changes in climate influence a plant's life cycle, a study known as phenology. Scientists noted that spring-flowering species are more affected by temperature changes than species that blossom later in the year. Understanding Apetala1's role in plant growth is one step closer toward genetically engineering crops to produce flowers or fruit as desired by plant breeders and farmers. The ability to control plant reproduction can also be used to reduce the time it takes for crops to mature. "A detailed knowledge of flower formation will allow breeders to specifically manipulate the underlying developmental program and then to select for plants that give higher yields or that allow a more efficient cultivation," Wellmer told Life's Little Mysteries.

Acknowledgment: LabrootsLivescience

Sunday, February 23, 2020

স্মৃতিচারণঃ কলমের একাল সেকাল

Photo: Prof. Mohammad Hossain Bhuiyan (Retired), Department of Agricultural Extension, Sher-e-Bangla Agricultural University


লিখেছেনঃ অধ্যাপক মোহাম্মাদ হোসাইন ভূঁইয়া (অবসরপ্রাপ্ত) 


কলম কালি মন
লিখে তিন জন
সেই কলম নেই সেই কালি নেই লেখার সেই মানসিকতাও নেই। কি লিখব? লেখার বিষয়বস্তু‘ খুঁজে পাইনা। আর লেখার বিষয় খুঁজে পাওয়া গেলেও পাঠক খুঁজে পাওয়া যায়না সেদিন কিছু লোকের কথাবার্তা আড়ি পেতে শুঞ্ছিলাম। লোকেরা সেকালের কলম ও কালি ব্যবহার নিইয়ে মজার মজার আলাপ করছিল। তাদের কথা শুনে আমার ছোটবেলার কলম কালি ব্যবহারের কথা মনে পড়ল।আমি হারিয়ে গেলাম সেই ছোট বেলার পড়ালেখার কর্মকান্ডে ।

১।কঞ্চিকলমঃ কলমের ইতিহাস সভ্যতার ইতিহাসের সমসাময়িক। কলমের ইংরেজি শব্দ “পেন” ল্যাটিন শব্দ “পেন্না” থেকে এসেছে যার অর্থ পাখির পালক। এ থেকে বুঝা যায় এককালে পাখীর পালক কলম হিসাবে ব্যবহৃত হতো। যা হোক, আমার লেখা শুরু হয় বাঁশের কঞ্চির কলম দিয়ে। আমার মা কঞ্চি কলমের সাইজ করে কেটে অগ্রভাগ কলমের নিবের মত চোখা করে কলম বানিয়ে দিতেন। কলম বানাবার জন্য ধারালো চাকু বা ছুরি ব্যবহার করা হতোনা। গৃহস্থ বাড়ির দা বা বঠি দিয়ে কলম বানানো হতো। কঞ্চির কলমের কালি ছিল স্পেসাল। মাটির হাড়ির তলার কালির গুঁড়া ও সিম পাতার রস মিক্সচার করে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে কালি তৈরি হতো। এই কালি মাটির খোড়ায় রেখে কঞ্চির কলমের চোখা অংশ চুবিয়ে তাল পাতায় লিখতাম অ আ ই ঈ ক খ। প্রাচীনকালে কঞ্চির কলমের মতই নলখাগড়ার ডগা দিয়ে কলম তৈরি হতো যা খাগের কলম নামে পরিচিত।খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে মিশরীয়রা খাগের কলম ব্যবহার করত। অতএব, দেখা যায় আমার শিশুকাল প্রাচীন মিশরীয় অবস্থানেই ছিল।

২।হাতলওয়ালা কলম/হ্যান্ডল পেন/নিব কলমঃ স্কুলে ভর্তির পর খাতায় লেখার সুযোগ পাই। তখন ব্যবহার করতাম হাতলওয়ালা কলম বা নিব কলম। হাতলয়াল কলমে ধাতব নিব বসানো থাকত। নিবের অগ্রভাগে ছিল বিন্দুর ন্যায় গোল আর নিবের মাঝ বরাবর চুল পরিমাণ ফাঁক থাকত। নিবের এই ফাঁক যে কালি ধারণ করত তা দিয়ে প্রায় এক মিনিট লেখা যেত। নিবের কালি শেষ হলে কলমটি আবার কালিতে চুবানো হতো। কলমের নিবের স্থায়িত্ব বেশি ছিলনা। কিছুদিন লেখার পরই নিব নষ্ট হয়ে যেত। তবে হাতলে নিব লাগানো যেত। দুই পয়সা দিয়ে দোকান থেকে নিব কেনা যেত। এবং হাতলে নিব লাগিয়ে আবার আমরা কলম চালু করতাম। মিশরীয়রা সর্ব প্রথম কাঠির ডগায় তামার তৈরি নিব লাগিয়ে হ্যান্ডল পেন বা হাতলওয়ালা কলম তৈরি করে।

হতলওয়ালা কলমের জন্য আমরা দোয়াতের কালি ব্যবহার করতাম। কালি রাখার জন্য দোয়াত কিনতে পাওয়া যেত। দুই পয়সা করে দোকানে কালির ট্যাবলেট পাওয়া যেত। দোয়াতে পানি ভরে কালির ট্যাবলেট পানিতে ছেড়ে দিলে রাতারাতি গলে যেত এবং লেখার জন্য কালি প্রস্তুত হতো। লেখা উজ্জল হওয়ার জন্য অনেক সময় আমরা কালিতে কাঁচা হরিতকীর রস মিক্সচার করতাম। পরীক্ষার সময় আমরা কালির দোয়াত এবং হাতলওয়ালা কলম নিয়ে স্কুলে যেতাম। হাত থেকে বা বেঞ্চ থেকে প্রায়ই দোয়াত পড়ে যেত আর তাতে আমাদের জামা কাপড়ে কালির দাগ পড়ত। কলম কালিতে চুবিয়ে মাঝে মাঝে ঝাড়া দিতাম। তখন নিজের গায়ে অথবা অন্যের গায়ে কালির ছিটা লাগত।

৩। মধ্যযুগে কাগজ আবিষ্কারের পর পাখির পালকের কলম ব্যবহার শুরু হয়। রাজহাঁস, ময়ূর এবং আরো অনেক পাখির পালক দ্বারা কলম তৈরি হতো। পাখির পালকের কলমকে কুইল কলমও বলা হয়। আর দোয়াতের কালি ব্যবহার করেই কুইল কলম দিয়ে লেখা হতো। এই কলম ব্যবহার করত জমিদার শ্রেণির লোকেরা। আমাদের কালে এই কলমের দেখা পাইনি। তবে গল্প শুনেছি প্রচুর।

৪। প্রায় চার হজার বছর আগে গ্রীসবাসীরা স্টাইলাস (Stylus) কলম ব্যবহার করত। স্টাইলাস কলম তৈরি হতো হাতির দাঁত থেকে। এই কলমের নাম আমরা শুনিনি। আর আমাদের দেশে এর ব্যবহার হয়েছে কিনা তাও জানা নেই।
৫। ঝরনা কলম বা ফাউন্টেন পেনঃ এই কলমের ইতিহাস অনেক লম্বা। প্রথমে মিশরে ৯৫৩ সালে ফাওউন্টেন পেন আবিষ্কার হয়। এর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলম আবিষ্কারের প্রচেষ্টা চলতে থাকে। খুব সম্ভব ওয়াটারম্যান ১৭৮০ সালের দিকে এই কলম ইংল্যান্ডে আবিষ্কার করেন। এর পর বিভিন্ন সময়ে ফাউন্টেন পেনের অনেক মডিফিকেশন হয়। এর নিব তৈরি হতো দামি ধাতব পদার্থ দিয়ে। আর নিবের ডগা তৈরি হতো ইউরোনিয়াম দিয়ে। ঝরনা কলমকে আমরা ফাউন্টেন পেন হিসাবেই জানি। অনেক নামী দামি ফাউন্টেন পেন ছিল। যেমন, পার্কার, পাইল্ট, স্যামসাং, ইয়থ ইত্যাদি নামের দামি কলম ছিল। আবার কম দামের কলমও ছিল। আমি ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে ওঠার পর আমাকে কম দামের একটি ফাউন্টেন পেন কিনে দেওয়া হয়। সেকালে গুলিস্তান এলাকায় অনেক কলম মেকার বসত। তাদের নিকট থেকে সস্তায় কলম পাওয়া যেত। এই কলমে কালি ভরার রিজারভিয়র বা প্রকোষ্ঠ ছিল। প্রকোষ্ঠের সাথে একটি সরু পথ ছিল যা কলমের নিবের সাথে সংযুক্ত। মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে রিজারভিয়র হতে কালি নিবে যেত এবং আমরা খাতায় বা কাগজে লিখতে পারতাম। ড্রপার বা সিরিঞ্জ দিয়ে আমরা কলমে কালি ভরতাম। নিব নষ্ট হয়ে গেলে বদলাবার ব্যবস্থা ছিল। এই কলমের সুবিধা হচ্ছে একবার কালি ভরলে তিন ঘণ্টার পরীক্ষা অনায়াসে দেওয়া যেত। সাবধানতা এড়ানোর জন্য পরের দিনের পরীক্ষার জন্য কালি ভব্রে নিতাম। আমি অনেক রকমের ফাউন্টেন পেন দেখেছি এবং ব্যবহার করেছি। পাইলট, পার্কার, ইয়থ ইত্যাদি নামের ফাউন্টেন পেনের কথা মনে পড়ছে।

সেকালে অনেক ব্র্যান্ডের কালি ছিল। যেমেন, পেলিকান, অস্ট্রিচ, ইয়থ ইত্যাদি। কালির মধ্যে ছিল কালো অথবা রয়েল ব্লু।

৬। বলপয়েন্ট কলমঃ বলপয়েন্ট কলমকে রিফিল কলমও বলা হয়। বলপয়েন্ট কলম আবিষ্কারের ইতিহাস দীর্ঘ হলেও সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য বাজারে আসে ১৯৬০’র দশকে। আমাদের দেশে আসে আরো অনেক পরে। খুব সম্ভব আশির দশকের শুরুতে অথবা সত্তুর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। এসময়ে কত মানুষ বিদেশ যেত এবং পকেটে করে তারা কলম নিয়ে আসত ও প্রিয় জনরে উপহার দিত। ১৮৮৮ সালে সর্বপ্রথম আমেরিকার নাগরিক জন জে লাউড বলপয়েন্ট পেন আবিষ্কার করেন। জন লাউডের এই কলম খুব সহজলভ্য ছিলনা। গত শতাব্দীর তৃতীয় দশকে হাঙ্গেরিয়ান নিউজ পেপার এডিটর লাসলো বিরো ও তার ভাই জন বিরো নতুন ধরনের বলপয়েন্ট পেন আবিষ্কার করেন। এই কলমের বৈশিষ্ট্য হল কলমের ফাঁপা স্থানে খুব ঘন কালি স্থাপন করা হয়। কলমের অগ্রভাগে নিব তুল্য স্টিলের বা পিতলের বল লাগানো থাকে যা দ্বারা আমরা লিখে। ফাউণ্টেন পেনের মতই মাধ্যাকর্ষণজনিত প্রভাবে বলে কালি প্রবেশ করে এবং আমরা লিখতে পারি।

বর্তমানে বলপয়েন্ট খুবই জনপ্রিয়। এক রিফিল শেষ হলে আর এক রিফিল ভরা যায়। বর্তমানে অবশ্য কেউ আর রিফিল ভরেনা। বলপয়েন্ট কলম এত সস্তা যে কালি শেষ হলে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয় আবার নতুন একটা ক্রয় করা হয়। আমি ১৯৮২ সালে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে একটা বলপয়েন্ট কলম গিফট পেয়েছিলাম। কলমের মধ্যে একটি ঘড়িও ছিল। এই দামি কলম দিয়ে আমি কখনো লিখিনি। শুধু দেখতাম। একদিন দেখলাম কালি শুকিয়ে গেছে ঘড়িও স্পন্দনহীন হয়ে পড়েছে।

বলপয়েন্টে এখন যেমন ঘড়ি আছে অদূর ভবিষ্যতে এই কলমে টেলিফোন বা মোবাইলের ব্যস্থাও থাকতে পারে। অথবা এখনই তা আছে যা আমি জানিনা।

A Novel Aspect of Farmland Birds Conservation in Precision Agriculture

Farmland bird nest (Source: Wallhere.com ) Written By:  Muhammad Abdul Mannan If we we even keep us very slightly updated with the advanceme...