ছবিঃ কালো ধানের চাল |
অনুবাদ এবং পুনর্বিন্যাসঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)
'ব্ল্যাক রাইস'- বাংলাদেশে যাকে বলা হয় 'কালো ধানের চাল'। এটি Oryza sativa L. প্রজাতিভূক্ত। এর অনন্য পুষ্টি গুণের কারণে প্রাচীন চীনে এই ধানের চাল শুধুমাত্র রাজপরিবারের সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল, জন সাধারণের জন্য এই চালের ভাত খাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। তাই, এর অন্য আরেকটি নাম হচ্ছে 'ফরবিডেন রাইস বা নিষিদ্ধ চাল'। আবার, এই ধানের চালে এন্থোসায়ানিন পিগমেন্ট উপস্থিত থাকার কারণে এটি অনেকটা রক্তবেগুনি বর্ণের দেখায়। সে জন্য একে 'পার্পল রাইস'ও বলা হয়।
৪৫ গ্রাম ব্ল্যাক রাইসের মধ্যে পাওয়া যায়-
⤇ তাপ শক্তি/ক্যালরিঃ ১৬০
⤇ চর্বি/ফ্যাটঃ ১.৫ গ্রাম
⤇ আমিষ/প্রোটিনঃ ৪ গ্রাম
⤇ কারবসঃ ৩৪ গ্রাম
⤇ আঁশ/ফাইবারঃ ১ গ্রাম
⤇লৌহ/আয়রনঃদৈনিক প্রয়োজনের ৬%।
ব্ল্যাক রাইসের অনন্য পুষ্টি গুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম গুণটি হচ্ছে এর 'এন্টি অক্সিডেন্ট ধর্ম' বা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক মুক্ত অক্সিজেন মূলক ধ্বংসের ক্ষমতা যা আমাদের শরীরের কোষ গুলোর বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।অন্য যেকোন ধানের চেয়ে ব্ল্যাক রাইসের এই এন্টি অক্সিডেন্ট প্রোপার্টি বেশি। এছাড়াও, ব্ল্যাক রাইসের এই ধর্মের কারণে, হৃদরোগ, আলঝিমার এবং ক্যান্সার রোগের ঝুঁকিও কমে যায়। কালো ধানে এই বৈশিষ্ট গুলো তৈরী হয় এন্থোসায়ানিন, ফ্ল্যাভিনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস এবং অন্যান্য আরো ২৩ টি উপাদান উপস্থিত থাকার কারণে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for commenting