Pic: Corona Virus (Somoy News) |
অনুবাদ ও ভাবানুবাদঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান
করোনা ভাইরাস জেনেটিক ইঞ্জিনিইয়ারিং নাকি প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফল, এই প্রশ্নে বিজ্ঞানীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ প্রাকৃতিক বিবর্তনের মাধ্যমেই তৈরী হয়েছে। এর স্বপক্ষে তাঁরা দুটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন।
প্রমাণ-১। নতুন ভাবে দেখতে পাওয়া করোনা ভাইরাসের একটি স্ট্রেইন বা জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন হচ্ছে SARS-CoV-2। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, এই SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিনের RBD কার্যকরভাবেই বিবর্তিত হয়েছিলো ACE2 নামক হিউম্যান কোষের (যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রিসেপ্টর হিসেবে কাজ করে) বাইরে অবস্থিত একটি মলেকুলার বৈশিষ্ট্য কে টার্গেট করে। বিজ্ঞানীরা এই বৈশিষ্ট্যকে প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলাফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, কোন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রোডাক্ট হিসেবে নয়।
প্রমাণ-২। SARS-CoV-2’র মলেকুলার গঠন/ব্যাকবোন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানুষের জন্য ক্ষতিকর, এমন কোন প্যাথোজেন পরীক্ষাগারে বানাতে হলে তা ওই পাথোজেনের স্ট্রেইন এর ব্যাকবোন/মলেকুলার গঠনের উপর ভিত্তি করেই বানাতে হবে। কিন্তু কোভিড-১৯’র প্যাথোজেন SARS-CoV-2’র মলেকুলার গঠন/ব্যাকবোন থেকে যথেষ্ট ভিন্নতর; এটা অনেকাংশেই বাদুড় কিংবা প্যাঙ্গলিন্সে পাওয়া ভাউরাসের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
উপরোক্ত দুটি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, করোনা ভাইরাস ল্যাবে তৈরি করা অসম্ভব। তাঁরা বিষয়টাকে গুজব হিসেবেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
Acknowledgment: Science Daily