Photo: Phytoplankton (P.C.: Science Times) |
লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)
ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন- দখল করে আছে সাগর, মহাসাগর কিংবা মিঠাপানি জীববৈচিত্রের প্রধান অংশ। জলীয় খাদ্যচক্র নিয়ন্ত্রণে এঁদের ভূমিকা অপরিহার্য।শুধুমাত্র সাগর কিংবা মহাসাগরের জীববৈচিত্র টিকিয়ে রাখতেই এরা সরাসরি ভূমিকা রাখছে তাই নয়, বরং বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণেও এরা প্রতিনিয়ত রেখে যাচ্ছে অমূল্য ভূমিকা। চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে এরা বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখছে।
বায়ূমন্ডলে উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের একটা উল্ল্যেখযগ্য অংশ ব্যবহৃত হয় উদ্ভিদকূলের খাদ্য তৈরীর প্রক্রিয়ায়; এবং প্রায় সমান পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড দ্রবীভূত হয় সাগরে।ফাইটোপ্লাংক্টন অটোট্রফ (যারা ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে নিজদের খাবার নিজেরাই তৈরী করতে পারে) অর্গানিজম হওয়ায়, এরা সাগরে দ্রবীভূত কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের একটা বিশাল অংশ শোষণ করে নিয়ে বায়ুমন্ডলে কারবন-ডাই-অক্সাইড নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
যদি তাই হয়, তাহলে কি আমরা সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন পপুলেশন আরো বাড়িয়ে বড় পরিসরে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে পারব? এমন প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ২০০৭ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, হ্যাঁ, আমরা তা করতে পারি। এক স্যিমুলেশন পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, সাগরে ফাইটোপ্লাংকটন কর্তৃক কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ ৩৯% পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। কিন্তু, অতিসাম্প্রতিক (ফেব্রুয়ারী, ২০২০ সালে) প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, কার্বন-ডাই-অক্সাইড আপটেক বাড়ানোর মাধ্যমে সাগরে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন পপুলেশন বাড়ানো সম্ভব, তবে তা গ্লোবাল স্কেলে/বাস্তবে সম্ভব না। এতে আরো বলা হয়েছে, ফাইটোপ্লাংটন আয়রন (লৌহ) প্রিয়। লৌহ প্রয়োগে এঁদের পপুলেশন খুব দ্রূত বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, সাগরে যে লৌহ উপাদান দরকার তা বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। তাই, আর্টিফিশিয়ালি অতিরিক্ত লৌহ প্রয়োগ ফাইটোপ্লাংক্টনের কোন কাজে আসবেনা এবং স্বাভাবিকভাবেই তা ফাইটোপ্লাংক্টন পপুলেশন বাড়ানোয় উল্ল্যেখযোগ্য কোন ভূমিকা রাখবেনা।
বিস্তারিত পড়তে নীচের সংযোগ গুলোতে ক্লিক করুন।
স্বীকৃতিঃ প্রতিদিন-বিজ্ঞান (০১), প্রতিদিন-বিজ্ঞান (০২)।
No comments:
Post a Comment
Thanks for commenting