ছবিঃ ধানের উতপত্তিস্থান (প্লস) |
অনুবাদ এবং পুনর্বিন্যাসঃ মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান (মুন্না)
ধানকে এশিয়ার প্রথম আবাদকৃত ফসল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ৩০০০ অব্দে চীনে সংরক্ষণের উদ্দ্যেশে রাখা ধান (প্রিজারভড রাইস গ্রেইন) পাওয়া যায়। অন্যদিকে, খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ১০০০-৭০০ অব্দে, ভারতের হস্তিনাপুরে এক খনন কাজের সময় রাইস গ্রেইন খুঁজে পাওয়া যায় এবং এটাকে সব থেকে পুরনো ধানের নমুনা হিসেবে মনে করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম হিমালয় পর্বত এলাকায় বিভন্ন ধরণের ধানের জাত এখন অবধি পাওয়া যায়; আর ঠিক একারণেই এই অঞ্চলকেও ধানের আদি আবাস হিসেবে গণ্য করেন অনেকেই।
ধানের উৎপত্তিস্থান নিয়ে দুজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীর মতামত নিম্নরূপঃ
১। ডি কনডোলে (১৮৮৬) এবং ওয়াট (১৮৬২), দক্ষিণ ভারতকে ধানের উৎপত্তিস্থান হিসেবে উল্ল্যেখ করেছেন।
২। ব্যাবিলভের মতে ধানের উৎপত্তি হয়েছে ভারত এবং মিয়ানমারে।
Oryza গণের মধ্যে ধানের মোট ২৩ টি প্রজাতি আছে, যার মধ্যে মাত্র দুটি চাষাবাদের যোগ্য; বাকি একুশটি বন্য প্রজাতির। চাষাবাদযোগ্য প্রজাতি দুটি হচ্ছে, Oryza sativa and Oryza glaberrima. প্রথমটি, পৃথিবীর সব জায়গাতেই আবাদ করা হয় কিন্তু দ্বিতীয়টি শুধুমাত্র পশ্চিম-আফ্রিকাতে চাষাবাদ করা হয়।
তাই, এটা বলা যেতে পারে, ধানের উৎপত্তিস্থান- ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড বেল্ট এবং পশ্চিম আফ্রিকা, এই দুই অঞ্চলের মধ্যেই সীমিত।
স্বীকৃতিঃ এগ্রোপিডিয়া